ads

Adenovirus: সরকারী ভরসায় না থেকে ঘরে বসেই জেনে নিন কীভাবে অ্যাডিনো ভাইরাস থেকে সোনামণিকে রক্ষা করবেন

চলতি বছরে যখন করোনা বিদায় নিয়েছে ধরে নিয়ে আমরা বাইরে খোলা মনে পা রেখেছিলাম, ঠিক তখনই আর এক ভাইরাসের আক্রমণ শুধু চিন্তিত নয়, আতঙ্কিত করে তুলছে। অ্যাডিনো ভাইরাস। আমরা আতঙ্কিত কারণ এই ভাইরাসের ছোবলে কাহিল হয়ে পড়ছে শিশুরা। যাদের বয়স দশ বছরের মধ্যে। শুধু আক্রান্ত নয়, ইতিমধ্যেই রাজ্যে বেশ কিছু শিশুকে কেড়ে নিয়েছে এই ভাইরাস। মৃত্যু মিছিল রোজ বাড়ছে। রাজ্য সরকার শুধুমাত্র নির্দেশিকা জারি করেই ক্ষান্ত। কিন্তু আমরা তো হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না। নিজেদের সুরক্ষা নিজেদেরই নিতে হবে। সাধারণ সর্দিকাশি আর অ্যাডিনো ভাইরাস কিন্তু এক নয়। উপসর্গ প্রায় একই হলেও কখন সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে ? বুঝবেন কিভাবে ? কোন কোন উপসর্গ হলে বুঝবেন, শিশু ভাইরাস আক্রান্ত ? আর কীভাবে তার মোকাবিলা করবেন ?

Adenovirus: উপসর্গ


· সাধারণ সর্দিকাশি অথবা ফ্লুর মতো লক্ষণ, যেমন- কাশি, নাক দিয়ে জল পড়া, জ্বর, গলাব্যাথা ইত্যাদি।

· চোখ লাল হয়ে যাওয়া এবং জল পড়া

· নিউমোনিয়া অথবা ফুসফুসে সংক্রমণ

· শ্বাস কষ্ট হতে পারে

· পেট খারাপের লক্ষণ- ডাইরিয়া, বমি, গা গোলানো ভাব এবং পেট ব্যাথা

সাধারণ সর্দিকাশি বা জ্বর মরশুম পরিবর্তনে হতে পারে। কিন্তু যখনই দেখবেন শিশুর জ্বর বাড়ছে, তাপমাত্রা ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যাচ্ছে এবং তিন দিন পরেও জ্বরের প্রভাব কমছে না, তখনই বুঝবেন আপনার শিশু অ্যাডিনো ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। এইসব লক্ষণের পাশাপাশি যদি দেখেন আপনার বাচ্চা ঝিমিয়ে পড়ছে তাহলে বিন্দুমাত্র দেরী না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

Adenovirus: কীভাবে মোকাবিলা


· জ্বর থাকলে ছয় থেকে আট ঘণ্টা অন্তর প্যারাসিটামল দিন (ডাক্তারের ঠিক করে দেওয়া ডোজ মেনে)

· জল, ওআরএস বা ফলের রস বেশি করে খাওয়ান

· জ্বর বাড়তে থাকলে কপালে জলপট্টি দিন (ঠান্ডা জল দেবেন না)

· প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি দিতে হবে (সোয়াবিন, মাংসের স্টু, ডাল)

· প্রোবাইটিক জাতীয় খাবার (টক দই )

· অ্যান্টি অক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার খাওয়ান ( যেকোন ফল, টমেটো, ব্রকোলি, পালং শাক, গাজর )

· স্কুলে পাঠাবেন না

· বাড়িতে সবার থেকে আলাদা রাখার চেষ্টা করুন

· রোদে বেশি বের করা যাবে না

· বাইরে বেরলো মাস্ক ব্যবহার করতে হবে

· হাত বারবার স্যানিটাইজ করুন বা সাবান দিয়ে ধুয়ে দিন

এখনও পর্যন্ত আমাদের দেশে এই ভাইরাসের কোনও টিকা বা ওসুধ বের হয়নি। ফলে চট করে ভাইরাসটিকে হারানো সম্ভব নয়। তাই প্রাথমিক অবস্থায় উপসর্গ বুঝে চিকিৎসা করালে আপনার বাচ্চার গুরুতর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।

No comments:

Powered by Blogger.