বৈশাখের এই দুপুরে লাল-তাজা তরমুজ সবার মন কেড়ে নেয়। প্রচণ্ড দাবদাহের মাঝে তরমুজে কামড় যেন স্বস্তির বৃষ্টি। জলে পরিপূর্ণ এই ফল নানা দিক থেকে শরীরের পক্ষে উপকারী। শুধু তরমুজ কেন, এর দানাও নানাভাবে উপকার দেয়। কিন্তু একটি গোটা তরমুজ সবাই খেতে পারে না। কেটে ফ্রিজে রেখে দেয়। প্রায় সব বাঙালি বাড়িতে এই রীতি চলে। গবেষকরা বলছেন, ভুলটা ওখানেই হচ্ছে। ফ্রিজে তরমুজ কেটে রেখে দিলে বিপদ বাড়ে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাটা তরমুজ বেশিদিন ফ্রিজে থাকলে তার আদ্রতা হারিয়ে যায়। আবার নানা ধরনের ব্যাক্টেরিয়া জন্মাতে শুরু করে, সেটা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। ফুট পয়েজিনিং হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুস্থ থাকতে চাইলে ফ্রিজে মোটেই তরমুজ রাখা যাবে না। চেষ্টা করুন তাজা খাওয়ার।
আবার বেশি তরমুজ খেলে হিতে বিপরীত হয়। তরমুজে থাকে ফাইবার। বেশি খেলে পেট ফাঁপা, গ্যাস ও বদহজম হতে পারে। আবার সুগারের মাত্রাও অনেক বেশি। তাই যারা সুগারের রোগী, তাদের জন্য মোটেই তরমুজ বেশি খাওয়া ভালো নয়। অতিরিক্ত চিনি পেট খারাপ ও গ্যাসের সমস্যা তৈরি করে। গবেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, যারা মদ্যপান করে, তারা তরমুজের ধারেকাছে যাবে না। কারণ, এই ফলে বেশি মাত্রায় লাইকোপিন পাওয়া যায়। যা অ্যালকোহলের সঙ্গে মিশে ক্ষতিকারক প্রভাব তৈরি করে। বেশি তরমুজ খেলে শরীরে জলের মাত্রা বেড়ে যায়। কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এইসব তো গেল ক্ষতিকারক দিক। উপকারের কথা উঠলে তরমুজের গুণ বলে শেষ করা যাবে না। পটাশিমায়, ম্যাগ্নেশিয়াম, ভিটামিন-বি ও সি প্রচুর মাত্রায় মেলে। এইসব পুষ্টি উপাদান শরীরের পক্ষে খুবই ভালো। ক্যান্সারের সঙ্গে বিরোধে লাইকোপিন ভীষণ কাজে দেয়। তরমুজ হৃদযন্ত্র ভাল রাখে। কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও মিটিয়ে দিতে পারে। যারা নিয়মিত তরমুজ খায়, তাদের অন্ধত্বের সমস্যা দেখা দেয় না। তাই ভালো থাকতে টাটকা তরমুজ খান, ফ্রিজে রাখা কাটা তরমুজ এড়িয়ে চলুন।
ads
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)

No comments: