ads

World hypertension day: 17th May: হাই ব্লাডপ্রেসার কতটা বিপজ্জনক ? ঘরোয়া উপায়ে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন ?

১৭ই মে দিনটি কেন গুরুত্ব পূর্ণ জানেন ? চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই দিনটি ওয়ার্ল্ড হাইপার টেনশন ডে (World hypertension day)।। সামগ্রিকভাবে এই দিনটিকে পালন করার মূল উদ্দেশ্য হল, জন সচেতনতা বাড়ানো। এখন প্রশ্ন হল, হাইপার টেনশন বলতে আমরা কী বুঝি ? হাইপার টেনশন আসলে এমন একটি শারীরিক অবস্থা, যেখানে আপনার শরীরের ব্লাড ভেসেল গুলির মধ্য দিয়ে রক্ত প্রবাহ বেড়ে যায়, যার ফলে রক্তনালী (blood vessels)-এর মধ্যে রক্তের চাপ বেশি হয়ে থাকে।  এটা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ শারীরিক সমস্যা। অনেক মারণ রোগের জনক। হাইপার টেনশনের সঠিক সময় চিকিৎসা না হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আপনি heart failure, brain stroke, heart attack ইত্যাদির কবলে পড়তে পারেন। জানেন কি ? ভারতে প্রতি ১০ জনের মধ্যে এক বা দুইজন এই রোগের শিকার। সাধারণ মানুষের রক্তচাপ 120/80 mm Hg -এর মধ্যে থাকা উচিত। এর থেকে বেশি হলেই উচ্চ রক্তচাপ (hypertension) বলা হয়। এই রোগ নানা কারণে আপনার শরীরে হানা দিতে পারে।

কী কী কারণ-

· জিনগত- বাবা-মা অথবা পূর্ব পুরুষদের উচ্চ রক্তচাপ থাকলে সেটির থেকে বংশসূত্রে আপনিও উত্তরাধিকারী হতে পারেন। অনেক সময় বার্ধক্য জনিত কারণেও হাইপার টেনশন হয়।

· ধূমপান- সিগারেট বা তামাক জাতীয় দ্রব্যে থাকে নিকোটিন। যা ব্লাড প্রেসার বাড়িয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, স্মোকিং আপনার শরীরে বিভিন্ন রোগ ডেকে আনতে পারে। যেমন- ক্যান্সার।

· Obesity- অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধিও অনেক সময় হাইপার টেনশনকে ডেকে আনে। 

· অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যভাস (improper diet and poor lifestyle)- অধিক তেল মশলা ও চর্বি জাতীয় খাবার নিয়মিত খেলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়। অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবারও খুব বিপজ্জনক।

· অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন ও মদ্যপান- সময়ে খাবার না খাওয়া, নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুম বা জীবন যাত্রায় বেহিসেবী হলে শরীর খারাপ হতে বাধ্য। আবার মদ বেশি খেলেও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি থাকে।

শুধু এইসব নয়, বিভিন্ন রোগ থেকেও হাইপার টেনশন বাড়ে। যেমন- ডায়াবেটিস, হাই কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড, কিডনির অসুখ (kidney dieses), থাইরয়েডের সমস্যা (abnormalities in thyroid), এন্ডোক্রাইন টিউমার (endocrine)। এর পাশাপাশি মাথায় রাখতে হবে কিছু নির্দিষ্ট ওষুধের অতিরিক্ত সেবনে হাইপার টেনশন বাড়তে পারে।

লক্ষণ-

শরীরে হাইপার টেনশন বাড়ছে, কীভাবে বুঝবেন ?
মাথা যন্ত্রণা, মাথা ঘোরা, অল্পতে ক্লান্তিভাব ও বিভ্রান্ত হওয়া, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, পা ফোলা ইত্যাদি। কারও কারও ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে গেলে প্রসাবের সঙ্গে রক্তপাত বা নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।

কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন ব্লাড প্রেসার-

একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকে নিয়মিতভাবে (৩ থেকে ৬ মাস অন্তর) রক্তে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড পরীক্ষা করা উচিত। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ-blood vessels-এ কোলেস্টেরল  জমতে থাকে এবং স্বাভাবিক রক্তে প্রবাহে বাধা দেয়। যার জেরে ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায়। তাই কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়লে সচেতন হতে হবে। এর থেকে heart-এর problem, kidney-এর problem ইত্যাদি ঘাতক রোগ হতে পারে।

রোজ নিয়ম করে শরীর চর্চা করতে হবে। অন্তত ৩০ মিনিট। ঘাম ঝড়িয়ে হাঁটুন বা সাঁতার কাটুন। আবার সাইকেল চালানোও উপকারী। সঠিক মাত্রায় সুষম খাবার খেতে হবে। তেলমশলা বাদ দেওয়ার চেষ্টা করুন। প্রচুর সবুজ শাক সব্জি, ফল খান। কোলেস্টেরল কমাতে ওটস, সোয়াবিন খাওয়া উপকারী। লো ফ্যাট দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া উচিত। প্রক্রিয়াজাত বা প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। ওমেগা থ্রি ও ফ্যাটি অ্যাসিড আছে এই রকম মাছ খান নিয়মিত। মরশুমি ফল রাখুন প্রতিদিনের পাতে। অবশ্যই ভিটামিন সি থাকা দরকার। খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন আমন্ড। সবশেষে সুস্থ থাকতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজন পড়লে ওসুধ খেতে হবে। নিয়মিত শরীর পরীক্ষা করান।

No comments:

Powered by Blogger.