গ্রাম বাংলায় কুমড়ো অত্যন্ত সহজলভ্য সবজি। নানা ধরণের তরকারীতে স্বাদ বাড়াতে সহকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মিষ্টি কুমড়োর স্বাদের পাশাপাশি হরেকরকম গুণ। কিন্তু শুধু কুমড়ো কেন ? তার লতা, পাতা এমনকি ফুলও বাঙালির নিত্যদিনের পাতে শোভা পায়। ঘরের আনাচে কানাচে অবহেলায় বড় হয়ে ওঠা কুমড়ো গাছের কত গুণ জানলে এর প্রতি সম্মান বেড়ে যাবে। শুধু কুমড়ো শাকের কত ধরণের গুণাগুণ জানেন ? বাজারে হেলায় পড়ে থাকা সবজিটির দিকে অনেকেই গুরুত্ব দেন না। গবেষকরা বলছেন, নিয়মিত কুমড়ো শাক খেলে শরীরের প্রচুর রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এমনকি গ্লামারও বেড়ে যাবে।
সম্পূর্ণ সবুজ এই শাক পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। গবেষকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এক কাপ কুমড়ো শাকে পুষ্টিগুণ আছে ৩৯ গ্রাম। কি কি আছে কুমড়ো শাকে-
এইসব পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ কুমড়ো শাক। তাই অন্য যেকোন শাকের তুলনায় কুমড়ো শাকের ম্যাডিকেল ভ্যালু অনেক বেশি। এবার জেনে নেওয়া যাক এর উপকারিতা-
· কুমড়ো শাকে প্রচুর পরিমাণে হাই ফাইবার থাকে। রক্তে কলেস্টরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভীষণভাবে সাহায্য করে ফাইবার। আর কলেস্টরল কম থাকলে স্বাভাবিকভাবেই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। পাশাপাশি, পটাশিয়াম অনিয়মিত হার্টবিট কমাতে সাহায্য করে।
· বাতের জেরে পেশী এবং জয়েন্টে ব্যাথা হয়। গবেষকরা বলছেন, কুমড়ো শাকে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬। যা পেশী ও জয়েন্টের ব্যাথায় উপশম দিতে পারে। তাই রোজ খান কুমড়ো শাক।
· কুমড়ো পাতায় থাকে ম্যাংগানিজ। মানুষের অবসাদ, মাথা ব্যাথা বা মুড পরিবর্তনের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে।
· ফসফরাস হাড় এবং মাড়ির স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই কুমড়ো পাতা নিয়মিত খেলে হাড় ক্ষয় এবং মাড়ির গঠন ভালো থাকে।
· কোলন ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগের বিরুদ্ধেও লড়তে পারে কুমড়ো পাতা। ফাইবার শরীরের পাচন ক্ষমতা ঠিক রাখে। পেট নিয়মিত পরিষ্কার হতে সাহায্য করে। পেট পরিষ্কার থাকলে কোলনে টিউমারের গঠন সহজে হবে না।
· কুমড়ো পাতার আয়রণ সাহায্য করে রক্তে আরও বেশি অক্সিজেন সরবরাহ করতে।
· ভিটামিন সি ও এ তে ভরপুর কুমড়ো শাক ত্বক ভালো রাখে। চুলের গোড়া মজবুত করে তোলে। চুল ঝড়া আটকায়।
· ওজন যারা কমাতে চান , তাঁরা নিয়মিত কুমড়ো শাকের তরকারি খান। কারণ, এতে ক্যালোরি প্রায় নেই বলেই চলে। উল্টে প্রচুর পুষ্টিগুণ থাকে। শরীরের সব চাহিদা মেটায়। পাশাপাশি মেদ জমতে দেয় না।
· গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুবই উপকারী কুমড়ো শাক। কারণ এটি পেট পরিষ্কার রাখে। পাশাপাশি, গর্ভস্থ শিশুর গঠনেও সাহায্য করে।
তাই নিয়মিত খান কুমড়ো শাক। এতে যেমন পুষ্টিগুণ আছে, তেমনই আছে মেডিক্যাল ভ্যালু। চোখ, ত্বক, চুলের জন্য খুবই উপকারী। সুন্দর জীবনের পাশপাশি দীর্ঘজীবী করে তোলে। তাই নিয়মিত পাতে রাখুন কুমড়ো শাক।
কুমড়ো শাকের পুষ্টিগুণ
সম্পূর্ণ সবুজ এই শাক পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। গবেষকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এক কাপ কুমড়ো শাকে পুষ্টিগুণ আছে ৩৯ গ্রাম। কি কি আছে কুমড়ো শাকে-
1. কার্বোহাইড্রেট- 0.91g
2. প্রোটিন- 1.23 g
3. ফ্যাট- 0.16 g
4. ক্যালসিয়াম- 15mg
5. জিঙ্ক- 0.08mg
6. আইরন- 0.87mg
7. ফসফরাস – 41 mg
8. ভিটামিন সি- 4.3mg
9. ভিটামিন এ- 3.8 mg
এইসব পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ কুমড়ো শাক। তাই অন্য যেকোন শাকের তুলনায় কুমড়ো শাকের ম্যাডিকেল ভ্যালু অনেক বেশি। এবার জেনে নেওয়া যাক এর উপকারিতা-
কুমড়ো শাকের উপকারিতা
· কুমড়ো শাকে প্রচুর পরিমাণে হাই ফাইবার থাকে। রক্তে কলেস্টরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভীষণভাবে সাহায্য করে ফাইবার। আর কলেস্টরল কম থাকলে স্বাভাবিকভাবেই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। পাশাপাশি, পটাশিয়াম অনিয়মিত হার্টবিট কমাতে সাহায্য করে।
· বাতের জেরে পেশী এবং জয়েন্টে ব্যাথা হয়। গবেষকরা বলছেন, কুমড়ো শাকে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬। যা পেশী ও জয়েন্টের ব্যাথায় উপশম দিতে পারে। তাই রোজ খান কুমড়ো শাক।
· কুমড়ো পাতায় থাকে ম্যাংগানিজ। মানুষের অবসাদ, মাথা ব্যাথা বা মুড পরিবর্তনের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে।
· ফসফরাস হাড় এবং মাড়ির স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই কুমড়ো পাতা নিয়মিত খেলে হাড় ক্ষয় এবং মাড়ির গঠন ভালো থাকে।
· কোলন ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগের বিরুদ্ধেও লড়তে পারে কুমড়ো পাতা। ফাইবার শরীরের পাচন ক্ষমতা ঠিক রাখে। পেট নিয়মিত পরিষ্কার হতে সাহায্য করে। পেট পরিষ্কার থাকলে কোলনে টিউমারের গঠন সহজে হবে না।
· কুমড়ো পাতার আয়রণ সাহায্য করে রক্তে আরও বেশি অক্সিজেন সরবরাহ করতে।
· ভিটামিন সি ও এ তে ভরপুর কুমড়ো শাক ত্বক ভালো রাখে। চুলের গোড়া মজবুত করে তোলে। চুল ঝড়া আটকায়।
· ওজন যারা কমাতে চান , তাঁরা নিয়মিত কুমড়ো শাকের তরকারি খান। কারণ, এতে ক্যালোরি প্রায় নেই বলেই চলে। উল্টে প্রচুর পুষ্টিগুণ থাকে। শরীরের সব চাহিদা মেটায়। পাশাপাশি মেদ জমতে দেয় না।
· গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুবই উপকারী কুমড়ো শাক। কারণ এটি পেট পরিষ্কার রাখে। পাশাপাশি, গর্ভস্থ শিশুর গঠনেও সাহায্য করে।
তাই নিয়মিত খান কুমড়ো শাক। এতে যেমন পুষ্টিগুণ আছে, তেমনই আছে মেডিক্যাল ভ্যালু। চোখ, ত্বক, চুলের জন্য খুবই উপকারী। সুন্দর জীবনের পাশপাশি দীর্ঘজীবী করে তোলে। তাই নিয়মিত পাতে রাখুন কুমড়ো শাক।



No comments: