একটু রিচ খাবার খেতে ভালোবাসেন। কিন্তু ভয়ে খান না ? বাঙালির খাওয়া-দাওয়া যেমন আছে, তেমনই সঙ্গে থাকে গ্যাস-অম্বল। প্রায় প্রতিটি ঘরে একজন করে এই রোগে আক্রান্ত। টিভিতে বিজ্ঞাপন দেখে জেলুসিল বা গাদা গাদা অ্যান্টাসিড খান সকলে। কিন্তু তাতেও খুব লাভের লাভ কিছু হয় না। দীর্ঘদিন ধরে এই রোগ পুষে রাখলে দেখা দিতে পারে অন্য সমস্যা। যেমন, পেটে আলসার বা ক্যান্সারের মতো রোগ আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। তাই সাবধান হওয়া আজ থেকেই জরুরী। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় একবার প্রয়োগ করে দেখুন না। আপনার শরীর থেকে গ্যাস-অম্বল ধীরে ধীরে বিদায় নেবে। কী কী করবেন ?
সময় মেনে অল্প আহার করুন-
নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন। সময় করে ঠিকঠাক খাবার খাওয়া হয় না ? এটা একদম করবেন না। যাই হয়ে যাক, সময় মেনে খাবার খাওয়া অভ্যাস করুন। পাশাপাশি, অল্প খেতে হবে। বিয়েবাড়ি গিয়ে পেট ঠেসে খাওয়া চলবে না। তাতে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি। তাহলে কী করবেন ? লোভ সম্বরণ করতে হবে। চেষ্টা করুন সন্ধ্যের পর ভারী কিছু না খেতে। আগেকার দিনে দুপুরবেলা নিমন্ত্রণ বাড়ি থাকত। সেটাই ছিল সঠিক। কারণ, শাস্ত্র থেকে চিকিৎসাশাস্ত্র-সবাই বলেছে রাতে ভারী খাবার খেতে নেই। যত তাড়াতাড়ি পারুন ডিনার কমপ্লিট করুন। দেখবেন শরীর ঝড়ঝড়ে থাকবে। গ্যাস হবে না।
যোগাসন করুন-
শুধু অভ্যাসের পরিবর্তন নয়, সেই সঙ্গে শরীর চর্চা করতে হবে। তবেই বদহজম থেকে চিরতরে রেহাই পাবেন। রোজ হাঁটুন বা দৌড়ান। পারলে বাড়িতে যোগাসন করুন। পবনমুক্তাসন, ব্রজাসন বা শীর্ষাসন করুন। দেখবেন গ্যাস- বদহজম চিরতরে বিদায় নিচ্ছে।
৮ ঘণ্টা ঘুমান-
রাতে ভালো ঘুম না হলে বা ভোরে উঠতে হলে অনেকের গ্যাসের সমস্যা হয়। ঠিক করে পেট পরিষ্কার হয় না। তার থেকে নানা ধরণের রোগ হাজির হয়ে যায়। তাই নিয়ম করে রোজ ৮ ঘণ্টা ঘুম খুব দরকার।
জল খান বেশি করে-
শরীরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল দিলে অনেক রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। আবার গরমের দিনে গলা ভেজাতে ঠান্ডা পানীয় না খেয়ে ডাবের জল, ঘোল, লেবুর সরবত বা ফলের জুস পান করুন। শরীর ভালো থাকবে।
সিগারেট ছাড়ুন-
ধূমপান যে শুধু ফুসফুসের ক্ষতি করে তাই নয়, পাচন তন্ত্রের বারোটা বাজিয়ে দেয়। ধূমপানের ফলে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা দেখা দেয়। ফলে প্যানক্রিয়াটাইটিস, পেপ্টিক আলসাসের মতো ক্রনিক রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
মদ্যপান ছাড়ুন-
মদ ভীষণভাবে পাকস্থলীর ক্ষতি করে। মদ্যপান করলে অ্যাসিড উৎপন্ন হয়। পেটের আস্তারনে প্রদাহ তৈরি করে। যার ফলে বমি, ডায়রিয়া বা পেট ব্যাথা হয়।
No comments: