সম্পূর্ণ বিদেশী একটি ফল। তবে তার দেশীয় সংস্করণ বেরিয়ে গিয়েছে। আগে সাধারণ বাজারে খুব একটা দেখতে পাওয়া যেত না। এখন যে কোন ফলের দোকানে সহজেই পাওয়া যায় ড্রাগন ফল (Dragan fruit)। তার কারণ, আগে বিদেশ থেকে আমদানী হত। এখন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বেকার যুবকরা ড্রাগন ফলের চাষ করে ঘরে ভালো মুনাফা তুলছেন। দেখতে মোটেই সুন্দর নয়। তাই কাল্পনিক জীব ড্রাগনের নাম অনুসারে এই ফলের নাম হয়েছে ‘ড্রাগন ফল’(Dragan fruit)। খুব একটা চালু না হলেও ধীরে ধীরে গৃহস্থের বাড়ি বাড়ি ঢুকতে শুরু করেছে এই ফল। গবেষকরা জানিয়েছেন, স্বাদ মোটামুটি হলেও উপকারিতা অনেক। ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের বিরুদ্ধে লড়তে পারে ড্রাগন ফল (Dragan fruit)। এই ফলের গাছ আসলে এক ধরণের ক্যাকটাস। এর পূর্ব পুরুষরা আগে বাস করত দক্ষিণ ম্যাক্সিমো ও মধ্য আমেরিকায়। এই গাছের ফুল মূলত রাতে ফোটে। ড্রাগন ফলের গাছের বৈজ্ঞানিক নাম হাইলোসেরিয়াস ক্যাকটাস। নানা জাতের হয় ড্রাগন ফল। স্বাদ অনেকটা বিদেশী ফল কিউই (kiwi) এবং নাশপাতির মিশ্রণে হাল্কা মিষ্টি।
একটি ড্রাগন ফলে একাধিক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান থাকে। যেগুলি দীর্ঘস্থায়ী রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এই ফলে ‘বিটালাইনস’ উপাদান মূলত লাল ড্রাগন ফলে দেখা যায়। এটি রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল কমিয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি, ‘হাইড্রোক্সিসিনামেটস’ উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ‘ফ্ল্যাভোনাইড’ উপাদান খুবই উপকারী। চোখের সমস্যা ও হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক কমিয়ে দেয়। আমরা জানি ফাইবার মানব শরীরে খাবার হজম করতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফলে থাকে প্রিবায়োটিক ফাইবার। এই উপাদানটি অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে। হজম ক্ষমতা বাড়ে। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। এই দুটো জিনিস মানুষে শরীরে রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ফলে ফাঙ্গাস, ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ফলটির ভিতর প্রচুর পরিমাণে আইরন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান থাকে। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের পুষ্টিজাত উপাদান থাকে। একটি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে কী কী উপাদান থাকে ?· ক্যালোরি ৬০ গ্রাম
· প্রোটিন ১.৬ গ্রাম
· কার্বোহাইড্রেট ১৩ গ্রাম
· ফাইবার ৩ গ্রাম
· ভিটামিন সি ৩%
· আয়রন ৪%
· ম্যাগনেসিয়াম ১০%
· ফ্যাট নেই
একটি ড্রাগন ফলে একাধিক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান থাকে। যেগুলি দীর্ঘস্থায়ী রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এই ফলে ‘বিটালাইনস’ উপাদান মূলত লাল ড্রাগন ফলে দেখা যায়। এটি রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল কমিয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি, ‘হাইড্রোক্সিসিনামেটস’ উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ‘ফ্ল্যাভোনাইড’ উপাদান খুবই উপকারী। চোখের সমস্যা ও হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক কমিয়ে দেয়। আমরা জানি ফাইবার মানব শরীরে খাবার হজম করতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফলে থাকে প্রিবায়োটিক ফাইবার। এই উপাদানটি অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে। হজম ক্ষমতা বাড়ে। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। এই দুটো জিনিস মানুষে শরীরে রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ফলে ফাঙ্গাস, ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।



No comments: